ডেভিড উইলিয়ামসের দুরন্ত হ্যাটট্রিকে এএফসি কাপের মূলপর্বে সবুজমেরুন
আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। সেই আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করেই এএফসি কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিল এটিকে মোহনবাগান। ডেভিড উইলিয়ামসের দুরন্ত হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশের ঢাকা আবহনীকে ৩-১ গোলে হারাল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে এটিকে মোহনবাগান। ম্যাচের ৬ মিনিটে বাদিক থেকে জনি কাউকোর বাড়ানো ক্রস থেকে এটিকে মোহনবাগানকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন ডেভিড উইলিয়ামস। ৭ মিনিট পর সমতা ফিরিয়ে আনার সুযোগ এসেছিল আবহনীর সামনে। কিন্তু জালে বল রাখতে পারেননি ড্যানিয়েল কলিন্ড্রেস।প্রথম গোল খাওয়ার পর চাপে পড়ে যায় ঢাকা আবাহনী। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বেশ কয়েকবার আক্রমণ তুলে নিয়ে আসেন এটিকে মোহনবাগানের কাউকো-লিস্টনরা। তবে আবাহনীর রক্ষণের তৎপরতায় গোল মুখ খুলতে পারেনি সবুজমেরুন। ম্যাচের ২০ মিনিটের মাথায় প্রবীর দাসের সেন্টার থেকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করেন জনি কাউকো। তাঁর শট বারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। একাধিক সুযোগ নষ্টের খেসারত দেওয়া সবুজমেরুন ২৯ মিনিটে ডেভিড উইলিয়ামসের গোলে ব্যবধান বাড়ায়। প্রবীর দাসের সাজিয়ে দেওয়া বল থেকে গোল তুলে আনতে কোনও ভুল করেননি ডেভিড উইলিয়ামস। প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক পুর্ণ করতে পারতেন এই অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার। প্রথমার্ধের শেষ দিকে একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে তিনি আবহনী গোলরক্ষকের গায়ে মারেন।দ্বিতীয়ার্ধে এটিকে মোহনবাগান হঠাৎই খেলা থেকে হারিয়ে যায়। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয় আবহনী। ঢাকা আবহনী একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসে। পর পর সুযোগ তৈরি করেও সবুজমেরুনের বক্সের মধ্যে গিয়েই খেই হারিয়ে ফেলছিল ঢাকার দল। প্রায় দুটি ক্ষেত্রে নিশ্চিত গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি আবহনী। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনার সুফল পায় ৬১ মিনিটে। রাকিব হোসেনের ডান পায়ের ফ্লিক ধরে বিশ্বমানের গোল করে যান কোস্টা রিকার বিশ্বকাপার ড্যানিয়েল কলিনড্রেস। ম্যাচের ৭০ মিনিটের পর আবার ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে এটিকে মোহনবাগান। আবহনীর মরিয়া লড়াই রুখে ফের আক্রমণাত্মক মেজাজে ফিরে আসে সবুজমেরুন। এই সময়ে দুটি সহজ সুযোগ মিসও করে বাগান জনতার প্রিয় ক্লাবটি। গোল নষ্টের মহরার মধ্যে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করে ঢাকা আবহনীর কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন ডেভিড উইলিয়ামস।